খন্দকার মোহাম্মদ আলী:
দেশের চলমান রাজনীতির প্রেক্ষাপটে প্রভাব বিস্তার করছে রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া এক শ্রেণীর সুবিধা বাদীরা। তাদের উদ্দেশ্যই সরকারি দল এবং বিরোধী দলের মধ্যে বিবেদ সৃষ্টি করে নানা কৌশলে নিরপেক্ষ মানুষগুলোকে অপরাধী বানিয়ে তাদের কাছ থেকে ভয় দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া। পক্ষান্তরে এই শ্রেনী সুবিধা বাদীরা যে কোন রাজনৈতিক ছত্র ছায়ায় আশ্রয় নিয়ে নিরবে কলা কৌশল প্রয়োগ করে পকেট ভারী করছে। রাজধানী শহর সহ জেলা উপজেলা পেরিয়ে এখন গ্রামের সহজ সরল মানুষগুলো এই খপ্পরে পরে প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া অসৎ সুবিধা বাদীদের তান্ডবে। এলাকা বাশী এদের চিহ্নিত করে সচ্ছ রাজনীতি ধারা ফিরিয়ে আনার দাবি জানান অন্তবর্তীকালীন সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।
সিরাজগঞ্জে উন্নয়ন অনুসন্ধান ফাউন্ডেশনের সেচ্ছাসেবীদের গোপন তথ্যে জানা যায় জেলার নয়টি উপজেলার মধ্যে বেলকুচি, উল্লাপাড়া, রায়গঞ্জ, তাড়াশ,শাহজাতপুরে চলছে রাজনীতির ছত্র ছায়ায় গড়ে ওঠা সুবিধা বাদীদের গ্যাংস্টার মোহরা। আইনশৃংখলা রক্ষাবাহিনির চোখ ফাকি দিয়ে গ্রামের ধনী,ব্যবসাহি, চাকুরীজীবি ও প্রবাভশালী ব্যক্তিদের টার্গেট করে গোপনে চাঁদার দাবিতে নিরবে হুমকি দিচ্ছে। তাদের দাবী কৃত চাঁদা না পেলেই চলমান বিভিন্ন মামলায় ফাসানোর ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। ভুক্তভোগীরা প্রাণের ভয়ে বা মামলার ভয়ে নিরবে দাবীকৃত চাঁদার অর্থ তুলে দিচ্ছে তাদের কাছে। এমন ঘটনার সাক্ষী প্রমাণ দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ নেই। কারণ তারাই আবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সক্ষ্যতা গড়ে তুলে দাপটের সাথে এলাকায় বিচরণ করে।
এ সমস্ত চাঁদা বাজদের মূল হোতা খুঁজে পাওয়া দুস্কর কারণ এদের রাজনৈতিক ছায়া ছাতীর ছায়ার মতো নয় এদের ছায়া কিছু রাজনৈতিক দলে সামিয়ানা বিছানোর ন্যায়, যার তলে রয়েছে গনতন্ত্রগামী মানুষগুলোর মুখ ও মুখোশ। এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামের কিছু সচেতন মানুষের সাথে কথা বলে যানা যায় তাদের ক্ষোভ, দুঃখ, ক্ষুধা আর নানা সামাজিক বিশৃঙ্খলার কথা। হতভাগা গ্রামের মানুষ আশায়, আশায় প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম পর্যন্ত শুধু জীবন সংগ্রামে লড়াকু সৈনিকের ভূমিকায় লড়তে লড়তে জীবন যুদ্ধে অবসান হয় । সরকার আশে সরকার যায় আবার ফিরে পায় স্বপ্ন ভরা আশার ভান্ডার। অবশেষে ভাংগা স্বপ্ন নিয়ে ঘড়ে ফেড়ে নিংস্ব অসহায় হয়ে সঙ্গি হয় শুধু হতাশার। প্রতিবেদক হতভাগ হয়ে শুনেছিলেন তাদের কথা। এমন বাস্তবতার গল্প আর অসংখ্য মানুষের আত্ব চিৎকার কে শুনবে কার কথা। গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় প্রতিনিয়ত খুন, ধর্ষন, ডাকাতি, চুরি, হত্যা, নাশকতা, চাঁদাবাদী,নির্যাতন, হামলা ও মামলার ঘটনা চোখে পড়ে। এ সমস্ত ঘটনায় অসংখ্য নিরপরাধ ব্যক্তিরা জড়িয়ে পড়ছে অপরাধীদের তালিকায় যার কারনে ঘড়ে ঘড়ে কর্মজীবী হওয়ার পরিবর্তে অপরাধজীবী হয়ে পড়ছে এ প্রজন্মের সন্তানেরা। মূুল ধারার রাজনীতি, সচ্ছ জবাবদিহি রাজনীতি, গনতন্ত্রগামী রাজনীতির ধারক বাহকগন বিবেক সম্মত সৎ ব্যক্তিদের দারা পরিচালিত না হলে গণমানুষের গনতন্ত্রর সুফল পাওয়া যাবে না। আদার গাছ থেকে যেমন আদাই হবে তেমনি হিংসার রাজনীতিতে শুধু হিংসাই জন্ম নেবে যার ফল হবে ধ্বংস আর ধ্বংস এবং ধ্বংস। অদৃশ্য বার্তায় হিংসায় গড়া মানুষগুলোর মগজে পৌঁছে যাক অহিংসা পরম ধর্ম- রাজনীতিতে হোক হিংসা শুন্য তবেই সার্থক হবে গন মানুষের গনতন্ত্র।
এ বিষয়ে বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ জাকিরিয়া হোসেন জানান,রাজনৈতিক ছত্র ছায়ায় কোন ব্যক্তি অথবা সন্ত্রাসীরা কারো কাছে চাঁদা চাইলে আমাদেরকে অবহিত করুন আমরা তাৎক্ষণিকভাবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।সচেতন ব্যক্তিদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।